পটুয়াখালীতে পাওনা টাকা না দেয়ায় আদালতে মামলা দায়ের। পটুয়াখালী জেলার টাউন কালিকাপুর কলাতলা ৮নং ওয়ার্ডে মৃতঃ আবুল হাসেম তালুকদারের ছেলে মো. নুরজামাল তালুকদার (৩৯) পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। পারিবারিক সুসম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আসামী মো. রাহাত (২৫), মো. শাহিন (২৬) টাকা-পয়সা নেয়ার পর এখন নানা টালবাহানা শুরু করেছেন।
তাদের নামে ৮ লক্ষ টাকার মামলা করা হয় পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। যার মামলা নং সিআর ৪০৬/২০২০। মামলাটি আদালতে চলমান আছে। এ বিষয়ে নুরজামাল তালুকদার জানান, জেলার গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী গ্রামের মো. রাহাত, কমলাপুর ইউনিয়নের মুলাগাছিয়া গ্রামের মো. শাহিন এর সাথে আমার পারিবারিকভাবে সুসম্পর্ক ছিল। এক সময় পারিবারিক সম্পর্ক গড়ায় আর্থিক লেনদেনে। তারা বেকারী ও মাছের ব্যবসা শুরু করেন।
ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে তারা ব্যবসা বন্ধ করে আমার পাওনা ৮ লাখ টাকা না দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। তাদের যোগাযোগ করলে কখনও নগদ টাকা পরিশোধ করবেন আবার কখনও নিজ ভোগদখলীয় জমির দলিল সম্পাদন করে দেবে- এমন প্রতিশ্রুতি দিতে থাকে। এভাবে প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত হয়। এরপর তারা আমার সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়। আমার কাছে তাদের দেয়া পাওনা ৮ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্প লিখিত ও ব্যাংক চেক আছে। এ বিষয়ে নুরজামাল তালুকদারের স্ত্রী মোসা. মৌসুমি বেগম বলেন, আমার স্বামী মামলা করায় জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা এমনকি গলাচিপা থানাধীন পাতাবুনিয়া বাজারে অবস্থিত মেসার্স তালুকদার মেডিসিন হাউসটি বর্তমানে পেশি শক্তি ব্যবহার করে আসামীরা বন্ধ করে দিয়েছে এবং প্রান নাশের হুমকি অব্যাহত রয়েছে এমতাবস্থায় আমি আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি।
আমার দোকানটি খুলে দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আমাকে আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবন যাপনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন আমার পরিবারে যদি কোন সমস্যা হয় তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে মামলার আসামীরা।